বংশ তালিকা উম্মোচন
চলমান বর্তমানের অতীত রয়েছে। শানুষের বংশ ধারা প্রবহমান অতীতের পথ ধরে বর্তমানে এসে মিসেছে। আমরা যেমন বেঁচে আছি ঠিক তেমনি করে আমাদের বাবা-মা, পিতামহ,মাতামহ তাঁদের পিতা এবং তাঁদের পূর্বসূরীগণ একদিন আমাদের ন্যায় বেঁচে ছিলেন। আমাদের অতীত সেই বংশ ধারার খোজ আমরা রাখিনা বা রাখার প্রয়োজন বোধ করিনা। আমরা সবাই বর্তমানকে নিয়ে ব্যস্ত। বস্তুগত ভাবধারায় বেড়ে উঠা সমাজে কদাছ অতীতের বস্তুগত সমৃদ্দির কথা ভাবা হলেও অবস্তুগত সমৃদ্ধি, শিক্ষা, সংস্কৃতি, কৃষ্টির বিষয়গুলো আজ ভাবা হয় না। ফলে আমাদের অতীত ঐতিহ্য ক্রমে বিস্মৃত ও অজ্ঞাত হয়ে পড়েছে। মানব জীবনের স্বরনীয় স্মৃতিগুলো হলো মানুষের রেখে যাওয়া কীর্তি। অগ্রজদের রেখে যাওয়া ঐতিহ্য কীর্তিগুলো পরবর্তি প্রজন্মের প্রতিভা বিকাশে সহায়তা করে। অতীতের স্বর্ণজ্জ্বল স্মৃতিগুলো প্রজন্মের চিন্তা, চেতনা, রুচিবোধ, মূল্যবোধ ও ভাবধারাকে প্রভাবিত ও বিকোশিত করতে সাহায্য করে। প্রতিভাবানদের জন্য বংশের কীর্তি ও স্বর্ণোজ্জল স্মৃতিগুলো হলো এক অমূল্য সম্পদ। আমাদের আজকের অর্জন, সমৃদ্ধি, বিজ্ঞতা কতক নিজের প্রচেস্টা ও অধ্যবসায়ের ফল স্বরূপ হলেও তার সিংহ ভাগ অর্জনের পেছনে রয়েছেন বিগত পূর্বপুরুষগণ। তাই পুরাতনদের ত্যাগের প্রতি সম্মান প্রদর্শনে যত্নবান না হলে আমাদের অগ্রযাত্রা একদিন থেমে যাবে। আমরা সমু কাজীর বংশধর। সমু কজীরও একটি অতীত ছিল, তাঁর বাবা মা, ভাই-বোন, পিতামহ, পিতামহ-মাতামহের বাবা-মা ও তাঁদের পূর্বপুরুষ সম্পর্কে আমরা কিছুই জানিনা। এরূপ না জানার কারণ হলো শিক্ষা দীক্ষার অনগ্রসরতার সাথে সাথে ব্যক্তি, গোত্র ও দল পর্যায়ে সচেতনতা ও বিশিষ্টায়ন প্রয়াসের অবাব। আমরা বিগত প্রায় সোয়া দু’শত বচর ধরে আমাদের নিকট ও অনতিদুর প্রাচিনদের নিকট সমু কজিী বংশের খণ্ডিত তথ্য পেয়েছি। বংশক্রম ধারায় সংকলিত তথ্যের অভাবে দূরবর্তী অতীতের ইতিহাস পূনরুদ্ধার করা প্রায়ই সম্ভব হচ্ছেনা। খণ্ডিত তথ্য বিশ্লেষণে কতক বিষয়ে অনুমান, আন্দাজ ও ধারণার আশ্রয় নিতে হয়েছে।নিজের পরিচয় প্রকাশ করার জন্য মানুষকে বারবার শিকড়ের কছে ফিরে যেতে হয়। কত জীবনের কত ধারা এসে মিসেছে আমাদের মাঝে। কত অসংখ্য পূর্ব পুরুষের শ্রম,ত্যাগ,সাধনা, বংশ রক্ষার নিরব ও অনিরব কর্মযজ্ঞের ফল আমরা সবাই। পূবৃ পুরুষের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ত্যাগের বিনিময়ে আমাদের শিক্ষা, সংস্কৃতি ও জীবন দর্শন আলোকিত হয়েছে। সমুকাজী খেতাব ধারন করে আমরা বংশের পরিচয় দেই কিন্তু বংশের যিনি কর্ণধার তাঁর সম্পর্কে এবং তাঁর পূর্ব ও পরবর্তী বংশধরদের জীবন-জীবিকা, পেশা সম্পর্কে আমরা কোন খোজ রাকিনা এবং অনেক কিছুই জানিনা। এই না জানার প্রধান কারণ হলো আমাদের পূর্বসূরীদের শিক্ষা-দীক্ষায় অনগ্রসরতা। আজ থেকে ৬২ বৎসর পূর্বেও সমুকাজীর বংশ ধারায় কোন শিক্ষিত ব্যক্তি আবির্ভূত হননি। ফলে আমাদের পূর্ব পুরুষদের ঐতিহ্য ও গৌরব গাঁথা সম্পর্কে কোন লিখিত দলিল আমরা পাইনি। প্রজন্ম পরস্পরায় স্মৃতি আর শ্রুতির মাধ্যমে আমরা আমাদের পূর্বসুরীদের সম্পর্কে জেনে আসছি। ফলে আমাদের আত্মপরিচয়ের ভিত দুর্বল হয়ে পড়ছে। কথায় আছে, আদর্শিক আত্মপরিচয় ছাড়া আত্মবিশ্বাসী হওয়া সম্ভব নয়। নিরিচয় জেনে আত্মবিশ্বাস জাগ্রত করতে না পারলে ফলপ্রসু চিন্তা ও কর্মের সমন্বয় ঘটিয়ে জীবনের পূর্নতা লাভ সম্ভব হয়না। তাই আমাদের গৌরবময় অতীত সম্পর্কে জানতে হবে।
বংশ ধারায় শিক্ষা বিস্তার:
বিগত সোয়া দুইশত বছর আমরা সমুকাজীর খেতাব ব্যবহার করে ঋণের বোঝা বাড়িয়েছি। এখন বংশ পরিচয় সম্পর্কে জেনে, বংশের ঐতিহ্য, সম্মান ও গৌরব সমুন্নত রেখে আমাদের ঋণ শোধ করতে হবে। সমুকাজীর বংশ ধারা চালু হওয়ার প্রায় ১৬২ বছর পর ষাটের দশকে এ বংশের তিনজন ব্যক্তি যথা: সর্বজনাব কাজী জয়নুল আবেদীন, কাজী রশিদ আহম্মদ ও কাজী শফিকুর রহমান মেট্রিকুলেশন পরীক্ষা পাশ করেন। এই তিনজন অগ্রজের মাধ্যমে সমুকাজীর বংশে শিক্ষার বিস্তার শুরু হয়। আজ আনন্দের সাথে বলছি আমাদের বংশে এখন প্রফেসর, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, চাটার্ড একাউন্ট্যান্ট, গ্রেজুয়েট, পোষ্ট গ্রেজুয়েট ও পি. এইচ. ডি ডিগ্রীধারী প্রচুর শিক্ষিত লোকের বিস্তার ঘটেছে। বর্তমান ও ভবিষ্যত বংশধরদের আত্মবিশ্বাসকে বলিয়ান করার জন্য আমাদের বিস্মৃত অতীতকে যে কোন মূল্যে পূনরুদ্ধার করা এখন সময়ের দাবী।
মনে প্রশ্ন জাগে, বর্তমানে আমাদের জীবন ধারায় পূর্ব পুরুষদের রেখে যাওয়া ঐতিহ্য, কৃষ্টি ও সংস্কৃতির কোন প্রভাব আছে কী? এর উত্তর জানতে হলে প্রথম আমাদের অতীতকে জানতে হবে। অতীতকে জানলে অতীতের গৌরব গাঁথা, ঐতিহ্য ইত্যাদির সাথে আমাদের বর্তমানের অর্জনগত পার্থক্য অনুধাবন করা সহজ হবে।
কাজী নিযুক্তির বিধান প্রবর্তন:
উপ-মহাদেশে কাজী নিয়োগের বিধান চালু হয় সর্বপ্রথম ১৮২৮ সনে লর্ঢ বেন্টিং এর শাসন আমলে। রর্ড বেন্টিং মুসলিম জনগোষ্ঠীর সহানুভূতি লাভের উদ্দেলশ্য মুসলিম জনসাধারণের বিচার কার্য ধমীয় নীতি অনুসারে নিষ্পত্তি ও নির্বাহের জন্য মুসলিম প্রধান অঞ্চলগুলোতে কাজী নিয়োগের বিধান প্রবর্তন করেন। ঐ সময় নিয়োগপ্রাপ্ত কাজীগণ ছিলেন মুসলমানদের ধর্মীয় বিধি-বিধান ও আচারের নির্বাহী ব্যবস্থাপক। মুসলিম সমাজে ইসলাম ধর্মীয় বিধানের সাথে সাংঘর্ষিক যে কোন ঘটনা, বিরোদ ও অনিয়ম ইত্যাদি, কাজী-ধর্মীয় আইন অনুসারে ফয়সালা করতেন। এছাড়া ধর্মীয় বিধানের প্রয়োজনীয় ব্যাখ্যা করার(....) দায়িত্ব ও তাঁর উপর ন্যস্ত ছিল।
সমুকাজী ছিলেন তৎকালীন নিজামপুর পরগনার জন্য নিয়োগ প্রাপ্ত কাজী। নিজামপুর পরগনার অন্তর্ভুক্ত অঞ্চল ছিল মিরসরাই, সীতাকুণ্ড ও সন্ধীপ। শ্রুতি রয়েছে সমুকাজী প্রতি বছর প্রতি অঞ্চলে চার মাস করে অবস্থান করতেন। এ সময়ের মধ্যে প্রতিটি অঞ্চলে ফি বছরে জমে থাকা মামলার নিষ্পত্তি করা হতো।
মুরব্বীদের দেওয়া তথ্য মতে সমুকাজী এ অঞ্চলে একজন বহিরাগত ব্যক্তি ছিলেন। সমুকাজীর বাবা-মা ও পূর্ব পুরুষরদর কোন রেকর্ড আমি খুজে পাইনি। আমার প্রিয় দাদা মরহুম কাজী বদিউর রহমান, জ্যাঠা মরহুম কাজী মতিউর রহমান, মরহুম কাজী খলিলুর রহমান ও চাচা মরহুম কাজী ফয়েজ উল্লার নিকট হতে সমুকাজীর বংশধরদের নাম, পরিচয়, পেশা ও তাদের মর্যাদাপূর্ণ জীবন ধারা সম্পর্কে নানা সময় নানা তথ্য পেয়েছি।
=============================
প্রফেসর কাজী মো. নূরুল হক
সম্পাদক,
বংশ তালিকা প্রণয়ন উপ-কমিটি,
সমুকাজী বাড়ি, মিঠানালা,মিরসরাই, চট্টগ্রাম।
তারিখ : বুদবার, জুলাই ১০, ২০১৩সন।
বংশ ধারায় শিক্ষা বিস্তার:
বিগত সোয়া দুইশত বছর আমরা সমুকাজীর খেতাব ব্যবহার করে ঋণের বোঝা বাড়িয়েছি। এখন বংশ পরিচয় সম্পর্কে জেনে, বংশের ঐতিহ্য, সম্মান ও গৌরব সমুন্নত রেখে আমাদের ঋণ শোধ করতে হবে। সমুকাজীর বংশ ধারা চালু হওয়ার প্রায় ১৬২ বছর পর ষাটের দশকে এ বংশের তিনজন ব্যক্তি যথা: সর্বজনাব কাজী জয়নুল আবেদীন, কাজী রশিদ আহম্মদ ও কাজী শফিকুর রহমান মেট্রিকুলেশন পরীক্ষা পাশ করেন। এই তিনজন অগ্রজের মাধ্যমে সমুকাজীর বংশে শিক্ষার বিস্তার শুরু হয়। আজ আনন্দের সাথে বলছি আমাদের বংশে এখন প্রফেসর, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, চাটার্ড একাউন্ট্যান্ট, গ্রেজুয়েট, পোষ্ট গ্রেজুয়েট ও পি. এইচ. ডি ডিগ্রীধারী প্রচুর শিক্ষিত লোকের বিস্তার ঘটেছে। বর্তমান ও ভবিষ্যত বংশধরদের আত্মবিশ্বাসকে বলিয়ান করার জন্য আমাদের বিস্মৃত অতীতকে যে কোন মূল্যে পূনরুদ্ধার করা এখন সময়ের দাবী।
মনে প্রশ্ন জাগে, বর্তমানে আমাদের জীবন ধারায় পূর্ব পুরুষদের রেখে যাওয়া ঐতিহ্য, কৃষ্টি ও সংস্কৃতির কোন প্রভাব আছে কী? এর উত্তর জানতে হলে প্রথম আমাদের অতীতকে জানতে হবে। অতীতকে জানলে অতীতের গৌরব গাঁথা, ঐতিহ্য ইত্যাদির সাথে আমাদের বর্তমানের অর্জনগত পার্থক্য অনুধাবন করা সহজ হবে।
কাজী নিযুক্তির বিধান প্রবর্তন:
উপ-মহাদেশে কাজী নিয়োগের বিধান চালু হয় সর্বপ্রথম ১৮২৮ সনে লর্ঢ বেন্টিং এর শাসন আমলে। রর্ড বেন্টিং মুসলিম জনগোষ্ঠীর সহানুভূতি লাভের উদ্দেলশ্য মুসলিম জনসাধারণের বিচার কার্য ধমীয় নীতি অনুসারে নিষ্পত্তি ও নির্বাহের জন্য মুসলিম প্রধান অঞ্চলগুলোতে কাজী নিয়োগের বিধান প্রবর্তন করেন। ঐ সময় নিয়োগপ্রাপ্ত কাজীগণ ছিলেন মুসলমানদের ধর্মীয় বিধি-বিধান ও আচারের নির্বাহী ব্যবস্থাপক। মুসলিম সমাজে ইসলাম ধর্মীয় বিধানের সাথে সাংঘর্ষিক যে কোন ঘটনা, বিরোদ ও অনিয়ম ইত্যাদি, কাজী-ধর্মীয় আইন অনুসারে ফয়সালা করতেন। এছাড়া ধর্মীয় বিধানের প্রয়োজনীয় ব্যাখ্যা করার(....) দায়িত্ব ও তাঁর উপর ন্যস্ত ছিল।
সমুকাজী ছিলেন তৎকালীন নিজামপুর পরগনার জন্য নিয়োগ প্রাপ্ত কাজী। নিজামপুর পরগনার অন্তর্ভুক্ত অঞ্চল ছিল মিরসরাই, সীতাকুণ্ড ও সন্ধীপ। শ্রুতি রয়েছে সমুকাজী প্রতি বছর প্রতি অঞ্চলে চার মাস করে অবস্থান করতেন। এ সময়ের মধ্যে প্রতিটি অঞ্চলে ফি বছরে জমে থাকা মামলার নিষ্পত্তি করা হতো।
মুরব্বীদের দেওয়া তথ্য মতে সমুকাজী এ অঞ্চলে একজন বহিরাগত ব্যক্তি ছিলেন। সমুকাজীর বাবা-মা ও পূর্ব পুরুষরদর কোন রেকর্ড আমি খুজে পাইনি। আমার প্রিয় দাদা মরহুম কাজী বদিউর রহমান, জ্যাঠা মরহুম কাজী মতিউর রহমান, মরহুম কাজী খলিলুর রহমান ও চাচা মরহুম কাজী ফয়েজ উল্লার নিকট হতে সমুকাজীর বংশধরদের নাম, পরিচয়, পেশা ও তাদের মর্যাদাপূর্ণ জীবন ধারা সম্পর্কে নানা সময় নানা তথ্য পেয়েছি।
=============================
প্রফেসর কাজী মো. নূরুল হক
সম্পাদক,
বংশ তালিকা প্রণয়ন উপ-কমিটি,
সমুকাজী বাড়ি, মিঠানালা,মিরসরাই, চট্টগ্রাম।
তারিখ : বুদবার, জুলাই ১০, ২০১৩সন।
----------------------------------------------
সৌজন্যে : প্রফেসর কাজী মো. নূরুল হক
সহযোগিতায় :কাজী শাহ আলম(মূখ্য সঞ্চালক)
কাজী নূর ছাপা (প্রধান সহযোগী)
কাজী শামসুদ্দিন (সার্বিক তত্ত্বাবধােয়ক)
============================
১.সমু কাজী
সৌজন্যে : প্রফেসর কাজী মো. নূরুল হক
সহযোগিতায় :কাজী শাহ আলম(মূখ্য সঞ্চালক)
কাজী নূর ছাপা (প্রধান সহযোগী)
কাজী শামসুদ্দিন (সার্বিক তত্ত্বাবধােয়ক)
============================
১.সমু কাজী
..............................
২.মনু কাজী
....................................
২.আসকর কাজী
No comments:
Post a Comment